শেয়ারবাজার ডেস্ক
দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস রোববার (১৬ নভেম্বর) সূচকের হ্রাস লক্ষ্য করা গেছে। তবে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারদর সমান বা সামান্য বৃদ্ধি পেয়েছে।
ডিএসই সূত্রে জানা গেছে, আজ লেনদেন শুরুর প্রথম ঘণ্টায় অর্থাৎ সকাল ১১ টা পর্যন্ত ডিএসইর প্রধান সূচক ‘ডিএসইএক্স’ ৫০.৯২ পয়েন্ট কমে ৪,৬৫১ পয়েন্টে অবস্থান করছে। একই সময় শরিয়াহ সূচক ‘ডিএসইএস’ ১২.৫২ পয়েন্ট হ্রাস পেয়ে ৯৬৪.৪৩ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। আর ‘ডিএস-৩০’ সূচক ১৮.৫৮ পয়েন্ট কমে ১,৮৩২ পয়েন্টে অবস্থান করছে।
আলোচ্য সময়ে ডিএসইতে মোট ৯৩ কোটি ২৯ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন সম্পন্ন হয়েছে। লেনদেনে অংশ নেওয়া কোম্পানিগুলোর মধ্যে ৭৯টির শেয়ারদর বেড়েছে, ২৩৪টির দাম কমেছে, এবং ৫২টির শেয়ারদরে কোনো পরিবর্তন হয়নি।
অর্থবাজার বিশ্লেষকরা জানান, সূচকের সামান্য পতনের সঙ্গে লেনদেনের মধ্যে মিশ্র পারফরম্যান্স বিনিয়োগকারীদের সতর্ক করে, তবে বাজারে সক্রিয়তার ধারাবাহিকতা দেখা যাচ্ছে। বাজারের বিভিন্ন খাতের কোম্পানির শেয়ারদরের ওঠানামা বিনিয়োগকারীদের জন্য বৈচিত্র্যময় সুযোগ এবং ঝুঁকি উভয়ই সৃষ্টি করছে।
ডিএসইর সাম্প্রতিক কার্যক্রমে দেখা গেছে, বিশেষ করে ব্যাংকিং, ওষুধ ও আইটি খাতের কিছু কোম্পানির শেয়ারদর হালকা উত্থান পেয়েছে, যা বাজারে মোট লেনদেনের মধ্যে ইতিবাচক প্রভাব ফেলেছে। অন্যদিকে, উৎপাদন ও শক্তি খাতের বেশ কিছু কোম্পানির শেয়ারদরে পতন দেখা গেছে।
অর্থনীতিবিদরা মনে করেন, আন্তর্জাতিক বাজারের দামের ওঠানামা এবং দেশীয় অর্থনৈতিক নীতি সংশ্লিষ্ট কার্যক্রম ডিএসইর সূচকে প্রভাব ফেলছে। বিনিয়োগকারীরা মূলত এই তথ্যকে কাজে লাগিয়ে বাজারে ক্রয়-বিক্রয় সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন।
মোটের উপর, রোববারের লেনদেনের প্রাথমিক পর্যবেক্ষণ নির্দেশ করছে যে, বাজারে সূচক হ্রাস থাকা সত্ত্বেও শেয়ারদরের বিস্তৃত মিশ্রতা বিনিয়োগকারীদের জন্য বিভিন্ন সুযোগ তৈরি করেছে, যা আগামী দিনগুলিতে লেনদেনের গতি ও বাজারের দিক নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।