জেলা প্রতিনিধি
খাগড়াছড়িতে অর্ধশতাধিক ইসলামী ছাত্র শিবিরের সাবেক নেতা ছাত্রদলে যোগ দিয়েছেন। রবিবার (২৩ নভেম্বর) সন্ধ্যায় কেন্দ্রীয় বিএনপির সহ-কর্মসংস্থান বিষয়ক সম্পাদক এবং খাগড়াছড়ি আসনে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী ওয়াদুদ ভূঁইয়ার কাছে ফুলের তোড়া দিয়ে তারা আনুষ্ঠানিকভাবে ছাত্রদলে প্রবেশ করেন।
ছাত্রদলে নবাগতদের স্বাগত জানাতে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন খাগড়াছড়ি জেলা ছাত্রদলের সভাপতি আরিফ মোহাম্মদ জাহিদ, সাধারণ সম্পাদক সোহেল দেওয়ান, সাংগঠনিক সম্পাদক বাপ্পি দাশসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ। ওয়াদুদ ভূঁইয়া নবাগতদের ছাত্রদলে যোগদানকে ইসলামী ছাত্র শিবিরের মধ্যে শুভ বুদ্ধি উদয়ের প্রমাণ হিসেবে উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, নবাগতরা বিএনপির চেয়ারম্যান বেগম খালেদা জিয়া এবং ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নতুন বাংলাদেশ গঠনে ভূমিকা রাখবেন।
নবাগত নেতা মো. রুবেল জানান, ইসলামী ছাত্র শিবির এবং বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামের কিছু বিষয়ে তার কাছে প্রশ্নবিদ্ধ হলে তিনি সংগঠন থেকে অব্যাহতি নিয়েছেন। তিনি আরও জানান, ছাত্রদলে যোগদানের পর কিছু হুমকির মুখে পড়েছেন।
মো. রুবেল ২০১২ সালে খাগড়াছড়ি সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে নবম শ্রেণিতে পড়ার সময় ইসলামী ছাত্র শিবিরে যোগ দেন। শিবিরে যোগদানের সময় তার রাম রাখা হয়েছিল মো. মোশাররফ হোসেন রুবেল নামে। মাধ্যমিক পাশের পর রামগড় সরকারি কলেজে ভর্তি হন। তিনি রামগড় উপজেলায় দুইবার সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন এবং পরে পর্যায়ক্রমে পানছড়ি, মাটিরাঙ্গা, মহালছড়ি, দীঘিনালা ও খাগড়াছড়ি সদর উপজেলায় সভাপতির দায়িত্বে ছিলেন। পরবর্তীতে খাগড়াছড়ি জেলা ইসলামী ছাত্র শিবিরের অফিস সম্পাদক ও জেলা প্রশিক্ষণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। সর্বশেষ ২০২৩ সালের জুলাই থেকে ২০২৪ সালের মে পর্যন্ত জেলা সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্বে ছিলেন।
তিনি বলেন, দীর্ঘ সময় নিজের জীবন ভুল পথে পরিচালিত হয়েছে। তিনি জানান, সেই সময়ে নিজের শৈশব ও যৌবনের কিছু অংশ ভুল পথে দিয়েছেন এবং বিভিন্ন মামলার শিকার হয়েছেন। মো. রুবেল উল্লেখ করেন, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ধানের শীষের বিজয় ছিনিয়ে আনতে এবং সকল শুভাকাঙ্ক্ষীদের বিএনপিতে যোগ দেওয়ার আহ্বান জানাবেন। তিনি বলেন, শেষ রক্ত বিন্দু পর্যন্ত চেষ্টা করে ধানের শীষের বিজয় নিশ্চিত করবেন।
বর্তমানে মো. রুবেল চট্টগ্রামের আইবি-তে অধ্যয়নরত। তার ছাত্রদলে যোগদান স্থানীয় রাজনীতিতে সম্ভাব্য প্রভাব ফেলতে পারে বলে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন। নতুন যোগদানকারীদের অভিজ্ঞতা ও নেতৃত্বের ভূমিকা স্থানীয় দলের কার্যক্রম ও নির্বাচনী প্রস্তুতিতে গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলতে পারে।