রাজনীতি ডেস্ক
জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদের সদস্য ও সাবেক সংসদ সদস্য শাহজাহান চৌধুরী তার সাম্প্রতিক বক্তব্যের কারণে দলীয় শোকজের মুখে পড়েছেন। শাহজাহান চৌধুরীর একটি ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হওয়ার পর তাকে শোকজ নোটিশ প্রদান করা হয়।
ভিডিওতে তিনি তার বক্তব্যে বলেন, ‘আল্লাহর ওয়াস্তে রাজনৈতিক বাড়াবাড়ি করিয়েন না। আমার নাম শাহজাহান চৌধুরী। আমি শুনতেছি, অনেক জনে নাকি আমাকে নিয়ে উল্টাপাল্টা বলতেছে।’ তিনি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে আরও বলেন, ‘খবরদার, খবরদার; আমি শাহজাহান চৌধুরী। আমাকে যারা না চিনে, তারা এখনও মাটির নিচে বসবাস করে। আমি চোখ তুলে দেখতেছি, আমার জন্য আল্লাহ আছে। আল্লাহর মেহেরবানি, আল্লাহ আমার জন্য সূর্য ঠেকিয়ে রাখবে। আল্লাহ তায়ালা আমাকে এ রকম মর্যাদা দিয়েছেন।’
এর আগে ২২ নভেম্বর চট্টগ্রামে জামায়াতের নির্বাচনী দায়িত্বশীলদের সমাবেশে শাহজাহান চৌধুরী প্রশাসনকে কব্জায় আনার প্রসঙ্গে বক্তব্য প্রদান করেন, যা প্রকাশের পর বিভিন্ন প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি করে। এই বক্তব্য সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার পর দলের উচ্চপদস্থ পর্যায়ে বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে নেওয়া হয়।
পরে ২৫ নভেম্বর শাহজাহান চৌধুরীকে দলীয় শৃঙ্খলা অনুযায়ী কারণ দর্শানোর নোটিশ প্রদান করা হয়। নোটিশে তাকে আগামী সাত দিনের মধ্যে লিখিতভাবে প্রতিক্রিয়া জানাতে বলা হয়েছে। সন্তোষজনক জবাব না দিলে তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার কথাও উল্লেখ করা হয়।
জানা যায়, শাহজাহান চৌধুরী আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামের হয়ে চট্টগ্রাম-১৫ (সাতকানিয়া-লোহাগাড়া) আসনে মনোনীত প্রার্থী। তার শোকজ ও দলীয় প্রতিক্রিয়া আসন্ন নির্বাচনের প্রেক্ষাপটে দলের অভ্যন্তরীণ শৃঙ্খলা এবং প্রার্থী নির্বাচনের প্রক্রিয়ার ওপর প্রভাব ফেলতে পারে বলে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন।
উল্লেখযোগ্য, দলীয় শৃঙ্খলা এবং নির্বাচনী প্রচারণা সংক্রান্ত বিষয়ে প্রকাশিত বক্তব্য সামাজিক ও রাজনৈতিক পরিবেশে তাৎপর্যপূর্ণ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে থাকে। শাহজাহান চৌধুরীর সাম্প্রতিক ঘটনার পর দলীয় শৃঙ্খলা বজায় রাখা এবং নির্বাচনী প্রস্তুতি নির্বিঘ্নে চালানোর প্রক্রিয়া তৎকালীনভাবে আরও মনোযোগের দাবী করছে।