জেলা প্রতিনিধি ,লক্ষ্মীপুর
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার বর্তমান অসুস্থতা স্বাভাবিক নয় বলে মন্তব্য করেছেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস। তিনি শনিবার (২৯ নভেম্বর) দুপুরে বাংলাদেশ ফটো জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশন আয়োজিত রূপসী বাংলা আলোকচিত্র প্রদর্শনী ও প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে এ মন্তব্য করেন।
মির্জা আব্বাস বলেন, খালেদা জিয়া একটি অস্বাভাবিক পরিস্থিতির শিকার হয়ে অসুস্থ হয়েছেন। তিনি জানান, কারাগারে নেত্রীর সঙ্গে বৈঠক করার সময় তিনি সতর্ক ছিলেন, কারণ সেখানে ধীরে ধীরে বিষ প্রয়োগের আশঙ্কা থাকে। তিনি ভারতীয় এক সাংবাদিকের সঙ্গে দেখা করার প্রসঙ্গে বলেন, সাংবাদিক জানিয়েছেন যে নেত্রীর মৃত্যু ধীরে ধীরে ঘটতে পারে। তবে আল্লাহর রহমতে খালেদা জিয়া বর্তমানে বেঁচে আছেন এবং সুস্থতা কামনা করা হচ্ছে।
তিনি আরও জানান, গতকাল রাত একটার সময় নেত্রীর খোঁজ নিতে সেখানে গিয়েছিলেন এবং এক ঘণ্টার মতো অবস্থান করেছিলেন। তার পর জানিয়েছেন, আজকের তুলনায় খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা উন্নত হয়েছে। মির্জা আব্বাস আল্লাহর কাছে নেত্রীর দ্রুত সুস্থতা কামনা করেন।
নির্বাচন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, যারা দেশের বাইরে থেকে রাজনৈতিক চক্রান্ত করছে, তারা দেশের দীর্ঘ সময় ধরে অবস্থান নিয়েছে এবং দেশকে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে। তিনি বলেন, বিদেশে বসে কোনো দল নির্বাচন হবে না বলে মন্তব্য করছে। তবে তার মতে, বাংলাদেশে নির্বাচন অবশ্যই অনুষ্ঠিত হবে এবং আগামী ফেব্রুয়ারিতেই তা হবে।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ফটো জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি এ কে এম মহসীন, সাবেক সভাপতি এ বি এম রফিকুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক বাবুল তালুকদার, রূপসী বাংলা-২০২৫ আলোকচিত্র প্রদর্শনী ও প্রতিযোগিতার আহ্বায়ক নাসিম শিকদার এবং ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক খুরশিদ আলম। তারা অনুষ্ঠানে আলোকচিত্র শিল্পী ও তাদের কাজের প্রশংসা করেন এবং শিল্পী তরুণদের উৎসাহিত করেন।
রূপসী বাংলা-২০২৫ আলোকচিত্র প্রদর্শনী ও প্রতিযোগিতার ফলাফল ঘোষণা করা হয়। চট্টগ্রামের এম হায়দার আলী প্রথম স্থান অধিকার করেন। দ্বিতীয় স্থান অর্জন করেন ঢাকার শামসুল হক রিপন এবং তৃতীয় স্থান অর্জন করেন চট্টগ্রামের এম রাশেদ। এই প্রদর্শনীতে দেশজুড়ে ফটোগ্রাফাররা তাদের সৃষ্টিশীল কাজ উপস্থাপন করেন এবং শিল্প ও সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রে তাদের অবদান তুলে ধরেন।
প্রদর্শনী ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানটি দেশের ফটোগ্রাফি শিল্পে নতুন প্রজন্মের অংশগ্রহণ বাড়ানোর পাশাপাশি তাদের মানসম্মত কাজের প্রচারের সুযোগ হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এই ধরনের আয়োজনগুলো শিল্পী ও সাধারণ দর্শকের মধ্যে আলোকচিত্রকর্মের প্রতি আগ্রহ এবং সচেতনতা বৃদ্ধিতে সহায়ক হিসেবে বিবেচিত হয়।