নির্বাচন কমিশনের সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ আজ (সোমবার) নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে জানিয়েছেন যে, জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) এই সপ্তাহেই একটি নতুন প্রতীক নিয়ে গণবিজ্ঞপ্তি জারি করবে। তিনি আরো বলেন, নির্বাচন কমিশন ইতোমধ্যেই এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছে এবং নির্ধারিত সময়ের মধ্যে নতুন প্রতীকের ঘোষণা করা হবে।
নির্বাচন কমিশনের সচিব আখতার আহমেদ জানান, এনসিপি দলের জন্য নতুন প্রতীক বরাদ্দের বিষয়ে কমিশনের অবস্থান স্পষ্ট এবং গণবিজ্ঞপ্তি শিগগিরই প্রকাশ করা হবে। কমিশন নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলোর তালিকা প্রকাশের সময় প্রতীকের বিজ্ঞপ্তিও প্রকাশ করবে বলে জানান তিনি।
এ বিষয়ে শাপলা প্রতীকের প্রসঙ্গে আখতার আহমেদ বলেন, কমিশন ইতোমধ্যে তাদের অবস্থান পরিষ্কার করেছে। এখন পর্যন্ত কোনো রাজনৈতিক দল বা পক্ষ থেকে শাপলা প্রতীক সংক্রান্ত বিকল্প কোনো প্রস্তাব কমিশনের কাছে জমা পড়েনি। তিনি আরো বলেন, কমিশন এখনও পূর্বের সিদ্ধান্তেই অটল রয়েছে এবং শাপলা প্রতীক নিয়ে কোনো পরিবর্তনের সম্ভাবনা নেই।
এ সময় গণভোট সংক্রান্ত একটি প্রশ্নের জবাবে আখতার আহমেদ জানান, নির্বাচন কমিশনে এখন পর্যন্ত কোনো ধরনের গণভোটের প্রস্তাব বা তথ্য পৌঁছায়নি। তিনি জানান, যেহেতু এটি আনুষ্ঠানিকভাবে কমিশনে আসেনি, তাই এই বিষয়ে মন্তব্য করা সম্ভব নয়। তিনি সুপারিশ করেন, গণভোট সম্পর্কে অনুমানভিত্তিক কোনো আলোচনা না করার জন্য।
শনিবার রাতে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশন ভবনের সামনে ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনার বিষয়ে আখতার আহমেদ বলেন, এটি একটি অনাকাঙ্ক্ষিত এবং নিন্দনীয় ঘটনা। তিনি জানান, পুলিশ তাৎক্ষণিকভাবে ব্যবস্থা নিয়েছে এবং ঘটনার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিকে আটক করেছে। পুলিশের পক্ষ থেকে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে এবং তদন্ত শুরু হয়েছে। তিনি জানান, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তাদের দায়িত্ব পালন করছে এবং কমিশন তাদের দায়িত্বে মনোযোগী থাকবে।
এনসিপির প্রতীক বরাদ্দ এবং অন্যান্য নির্বাচন প্রস্তুতির বিষয়ে আখতার আহমেদ জানান, নির্বাচন কমিশন বর্তমানে নির্বাচন প্রক্রিয়ার ৯০ থেকে ৯৫ শতাংশ প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে। তিনি বলেন, রাজনৈতিক দলগুলোর নিবন্ধন এবং পর্যবেক্ষক সংস্থার নিবন্ধন এই সপ্তাহে সম্পন্ন হলে, কমিশন প্রস্তুতির ১০০ শতাংশ পূর্ণতা লাভ করবে।
পুনর্গঠন এবং রাজনৈতিক চাপের বিষয়ে আখতার আহমেদ বলেন, এই বিষয়ে তার কোনো মন্তব্য নেই। তিনি উল্লেখ করেন, রাজনৈতিক বিষয়গুলো নির্বাচন কমিশনের এখতিয়ারের বাইরে এবং কমিশন সংবিধান ও আইনের প্রতি সম্মান রেখে তাদের সাংবিধানিক দায়িত্ব পালন করছে। তিনি সকল রাজনৈতিক দল এবং সংশ্লিষ্ট পক্ষদের সহযোগিতার আহ্বান জানান এবং বলেন, নির্বাচনের সফল আয়োজনের জন্য সকলের অংশগ্রহণ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
তিনি বলেন, “নির্বাচন সফলভাবে শেষ করতে সকলকে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে একযোগভাবে কাজ করতে হবে।”
এদিকে, কমিশন তার সকল প্রস্তুতি দ্রুততার সাথে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে এবং সকল প্রকার পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে প্রস্তুত রয়েছে।