জাতীয় ডেস্ক
ঢাকা, রবিবার, ৩০ নভেম্বর: জাতীয় বেতন কমিশনের সুপারিশ অনুসারে নবম পে স্কেল বাস্তবায়নের দাবিতে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা রবিবার সকাল থেকে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন। কর্মসূচি অধিদপ্তরের সদর দপ্তরের সামনে শুরু হয়েছে এবং এতে বিভিন্ন বিভাগ ও শাখার কর্মকর্তা-কর্মচারীরা অংশগ্রহণ করছেন।
আন্দোলনকারীরা জানিয়েছেন, দীর্ঘদিন ধরে সরকার পে স্কেল বাস্তবায়নের প্রতিশ্রুতি দিলেও আমলাতান্ত্রিক জটিলতা এবং সদিচ্ছার অভাবের কারণে তা কার্যকর করা সম্ভব হয়নি। তারা বলেন, ২০১৫ সালে একবার পে স্কেল বাস্তবায়নের ঘোষণা দেওয়া হয়েছিল, তবে তা বাস্তবায়িত হয়নি। এ কারণে তারা পুনরায় সরকারি স্বীকৃতি ও কার্যকর বাস্তবায়নের জন্য চাপ সৃষ্টি করতে অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেছেন।
অবস্থান কর্মসূচির অংশগ্রহণকারীরা উল্লেখ করেছেন, পে স্কেল বাস্তবায়ন না হলে কলম বিরতি সহ অন্যান্য কর্মসূচি নেওয়ার হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে। তারা আশা প্রকাশ করেছেন, সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ দ্রুত পদক্ষেপ নিয়ে নতুন পে স্কেল বাস্তবায়ন নিশ্চিত করবেন।
মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরে কর্মরত কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা দীর্ঘদিন ধরে বেতন কাঠামোর সংস্কার ও উন্নত পে স্কেল কার্যকর করার জন্য আন্দোলন করে আসছেন। সরকারের বিভিন্ন সুপারিশ ও কমিশনের রিপোর্ট অনুযায়ী নতুন পে স্কেল প্রণয়ন করা হলেও বাস্তবায়নে দীর্ঘ সময় বিলম্ব হচ্ছে। এ কারণে সরকারি শিক্ষাব্যবস্থায় কর্মরত কর্মকর্তাদের আর্থিক সুরক্ষা ও প্রণোদনার প্রশ্নও দীর্ঘদিন থেকে চাপের মধ্যে রয়েছে।
বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, সরকারি কর্মকর্তাদের পে স্কেল সময়মতো বাস্তবায়ন না হলে সেবার মানে প্রভাব পড়তে পারে। এটি শুধু ব্যক্তিগত অর্থনৈতিক নিরাপত্তার বিষয় নয়, বরং সরকারি শিক্ষাব্যবস্থার কর্মক্ষমতা ও দীর্ঘমেয়াদী শিক্ষাগত মান বজায় রাখার জন্যও গুরুত্বপূর্ণ।
অবস্থান কর্মসূচি চলাকালীন মাউশির সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা আন্দোলনকারীদের সঙ্গে সংলাপের চেষ্টা করেছেন। তবে আন্দোলনকারীরা দাবি করেছেন, সরাসরি প্রণীত পে স্কেল বাস্তবায়ন নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত কর্মসূচি চলবে। সরকারিভাবে এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া এখনও পাওয়া যায়নি।
এ ধরনের আন্দোলন এবং অবস্থান কর্মসূচি শিক্ষা বিভাগের বিভিন্ন পর্যায়ে কর্মরত কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের অধিকার ও সুবিধা বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। নবম পে স্কেল কার্যকর হলে সরকারি শিক্ষাব্যবস্থার কর্মীদের আর্থিক নিরাপত্তা ও প্রণোদনা বৃদ্ধি পাবে, যা সেবার মান উন্নয়নে সহায়ক হবে।