1. admin@deshmediabd.info : admin :
  2. support@bdsoftinc.info : adminr :
শনিবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৮:৩৯ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ সংবাদঃ
তারেক রহমানের দেশে ফেরার ঘোষণা দিল বিএনপি গুলিবিদ্ধ স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফ ওসমান বিন হাদির ওপর হামলাকারীদের ধরতে সাঁড়াশি অভিযান শুরু নির্বাচন বানচাল করার প্রচেষ্টা কঠোরভাবে দমন করা হবে: প্রেসসচিব রাতেই চালু হচ্ছে মেট্রো রেল বাংলাদেশ পুলিশের উচ্চপর্যায়ের ৩৯ কর্মকর্তার বদলি আসন্ন ঢাকা-১০ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে দাঁড়াবেন আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া শরিফ ওসমান হাদি গুলিবিদ্ধ, ঢামেকে চিকিৎসাধীন তফসিল ঘোষণায় সহযোগিতার প্রস্তুতি জানাল জামায়াতে ইসলামী ইউক্রেন যুদ্ধের মাঝেই নির্বাচনের ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্র-ইউক্রেন উত্তাপ ল্যুভ মিউজিয়ামে চুরি: তদন্তে নিরাপত্তা ব্যবস্থার গুরুতর ত্রুটি উদঘাটন

জামায়াতের পাঁচ দফা দাবি মেনে নিতে সরকারের প্রতি আহ্বান, না মানলে ১১ নভেম্বর ঢাকায় বড় সমাবেশের হুঁশিয়ারি

রিপোর্টার
  • আপডেট : বৃহস্পতিবার, ৬ নভেম্বর, ২০২৫
  • ২৯ বার দেখা হয়েছে

রাজনীতি ডেস্ক

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে পাঁচ দফা দাবি মেনে নিতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে। দলটি সতর্ক করে জানিয়েছে, সরকার দাবিগুলো না মানলে আগামী ১১ নভেম্বর রাজধানী ঢাকায় বৃহৎ জনসমাবেশের মাধ্যমে পরিস্থিতি ভিন্ন রূপ নেবে।

বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) দুপুরে রাজধানীর মৎস্য ভবনের সামনে এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশে দলের সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার এই হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন। তিনি বলেন, “আপনারা আমাদের পাঁচ দফা দাবি মেনে নিয়ে জুলাই সনদের গণআকাঙ্ক্ষার প্রতি সম্মান প্রদর্শন করুন। তা না হলে ১১ নভেম্বর রাজধানী ঢাকার চিত্র ভিন্ন হবে।” তিনি আশা প্রকাশ করেন, অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ দ্রুত এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে।

এর আগে জামায়াতে ইসলামীসহ আটটি রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিরা প্রধান উপদেষ্টার কাছে তাদের দাবিসমূহ সংবলিত একটি স্মারকলিপি জমা দেন। স্মারকলিপি জমা দেওয়ার পর মৎস্য ভবনের সামনে আয়োজিত সমাবেশে জামায়াতের নেতারা বক্তব্য রাখেন।

অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, “আগামী ১১ নভেম্বর আটটি রাজনৈতিক দলের উদ্যোগে রাজধানীতে মহাসমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। এর আগে আমরা সরকারকে বলতে চাই, লক্ষ লক্ষ জনতার পদচারণায় ঢাকা মুখরিত হওয়ার আগে আমাদের দাবিগুলো মেনে নিন।” তিনি আরও জানান, প্রতিটি রাজনৈতিক দলকে লিয়াজোঁ কমিটি গঠনের আহ্বান জানানো হয়েছে, যা ১১ নভেম্বরের সমাবেশ সফল করতে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেবে।

এর আগে পল্টন মোড়ে আয়োজিত আরেক সংক্ষিপ্ত সমাবেশে জামায়াতে ইসলামী নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মো. তাহের সরকারের প্রতি একই ধরনের হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন। তিনি বলেন, “যদি দাবিগুলো না মানা হয়, তাহলে ১১ নভেম্বর ঢাকায় ‘চলো চলো ঢাকা চলো’ কর্মসূচির মাধ্যমে বৃহৎ গণজমায়েত হবে। সেদিন ঢাকা হবে জনতার নগরী, দাবি আদায়ের দিন।”

পূর্বঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী সকাল থেকেই মতিঝিলের শাপলা চত্বর ও পল্টন মোড়ে জামায়াতে ইসলামীসহ অন্যান্য দলের নেতা-কর্মীরা জড়ো হতে থাকেন। বেলা ১১টার পর ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণের বিভিন্ন এলাকা থেকে মিছিল নিয়ে তারা পুরানা পল্টনে সমবেত হন। শীর্ষ নেতাদের বক্তব্য শেষে দুপুর ১২টা ৫ মিনিটে আট দলের প্রতিনিধিরা প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনা অভিমুখে পদযাত্রা শুরু করেন।

জামায়াতের পাশাপাশি স্মারকলিপি প্রদান ও কর্মসূচিতে অংশ নেয় ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, খেলাফত মজলিস, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস, বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন, বাংলাদেশ নেজামে ইসলাম পার্টি, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি (জাগপা) এবং বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট পার্টি।

সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল ড. হামিদুর রহমান আযাদ, কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য মোবারক হোসাইন, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আমির নূরুল ইসলাম বুলবুল, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের যুগ্ম মহাসচিব ও ঢাকা উত্তরের সভাপতি অধ্যক্ষ মাওলানা শেখ ফজলে বারী মাসউদ, খেলাফত মজলিসের নায়েবে আমির সাখাওয়াত হোসেন, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের যুগ্ম মহাসচিব তোফাজ্জল হোসেন মিয়াজি, নেজামে ইসলাম পার্টির মহাসচিব মুসা বিন ইহজার, বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের মহাসচিব মাওলানা ইউসুফ সাদিক হাক্কানী, জাগপার মুখপাত্র প্রকৌশলী রাশেদ প্রধান এবং বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট পার্টির চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট আনোয়ারুল হক।

আট দলের দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে—জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নের আদেশ জারি এবং নভেম্বরের মধ্যেই এ বিষয়ে গণভোট আয়োজন; আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে উচ্চকক্ষে সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্ব (পিআর) পদ্ধতি চালু; অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য সকল রাজনৈতিক দলের জন্য সমান সুযোগ নিশ্চিত করা; অতীতের ‘জুলুম-নির্যাতন, গণহত্যা ও দুর্নীতির বিচার’ নিশ্চিত করা; এবং জাতীয় পার্টি ও ১৪ দলের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা।

সমাবেশ শেষে নেতারা জানান, সরকারের ইতিবাচক সাড়া না পেলে তারা ঘোষিত মহাসমাবেশের মাধ্যমে পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করবেন।

s
এই বিভাগের আরো সংবাদ
© All rights reserved © 2021 deshmediabd.com