1. admin@deshmediabd.info : admin :
  2. support@bdsoftinc.info : adminr :
শনিবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৮:৩৯ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ সংবাদঃ
তারেক রহমানের দেশে ফেরার ঘোষণা দিল বিএনপি গুলিবিদ্ধ স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফ ওসমান বিন হাদির ওপর হামলাকারীদের ধরতে সাঁড়াশি অভিযান শুরু নির্বাচন বানচাল করার প্রচেষ্টা কঠোরভাবে দমন করা হবে: প্রেসসচিব রাতেই চালু হচ্ছে মেট্রো রেল বাংলাদেশ পুলিশের উচ্চপর্যায়ের ৩৯ কর্মকর্তার বদলি আসন্ন ঢাকা-১০ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে দাঁড়াবেন আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া শরিফ ওসমান হাদি গুলিবিদ্ধ, ঢামেকে চিকিৎসাধীন তফসিল ঘোষণায় সহযোগিতার প্রস্তুতি জানাল জামায়াতে ইসলামী ইউক্রেন যুদ্ধের মাঝেই নির্বাচনের ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্র-ইউক্রেন উত্তাপ ল্যুভ মিউজিয়ামে চুরি: তদন্তে নিরাপত্তা ব্যবস্থার গুরুতর ত্রুটি উদঘাটন

নির্বাচন ও গণভোট একই দিনে দাবি বিএনপি মহাসচিবের

রিপোর্টার
  • আপডেট : শুক্রবার, ৭ নভেম্বর, ২০২৫
  • ২৩ বার দেখা হয়েছে

রাজনীতি ডেস্ক

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর অভিযোগ করেছেন, আসন্ন জাতীয় নির্বাচনকে কেন্দ্র করে “ষড়যন্ত্র চলছে” এবং তিনি দাবি জানিয়েছেন যে নির্বাচন ও গণভোট একই দিনে অনুষ্ঠিত হতে হবে। শুক্রবার (৭ নভেম্বর) নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে ঐতিহাসিক ৭ নভেম্বর বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে আয়োজিত র‍্যালিপূর্ব সমাবেশে তিনি এই দাবি জানান।

মির্জা ফখরুল বলেন, “খুব স্পষ্টভাবে বলতে চাই, নির্বাচন নিয়ে ষড়যন্ত্র চলছে। নির্বাচন ও গণভোট একই দিনে হতে হবে এবং সেই নির্বাচন ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারিতেই অনুষ্ঠিত হতে হবে। এর অন্যথা হলে বাংলাদেশের মানুষ তা মেনে নেবে না।”

তিনি অভিযোগ করেন, বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের কার্যক্রম নির্বাচনী প্রক্রিয়াকে জটিল করে তুলছে। বিএনপি মহাসচিব বলেন, “আজ দুর্ভাগ্যজনকভাবে অন্তর্বর্তী সরকার, যাদের আমরা সম্পূর্ণ সমর্থন দিয়েছি, তারাই এমন ব্যবস্থা নিচ্ছে, যাতে নির্বাচনের প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত হয়।”

বিএনপি নেতার দাবি, কিছু রাজনৈতিক দল জোট গড়ে সরকার ও নির্বাচন কমিশনের ওপর চাপ সৃষ্টি করছে, যাতে গণভোট নির্বাচনের আগে অনুষ্ঠিত হয়। তবে বিএনপির অবস্থান ভিন্ন। ফখরুল বলেন, “আমরা বলেছি, গণভোট নির্বাচনের দিনই হতে হবে। দুটি ভোট করতে গেলে অনেক টাকা খরচ হবে এবং মূল নির্বাচনের গুরুত্বও কমে যাবে।”

সমাবেশে মির্জা ফখরুল বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে “আধুনিক গণতান্ত্রিক আন্দোলনের নেতা” হিসেবে অভিহিত করেন। তিনি বলেন, “সংস্কারের জন্য ৩১ দফা কর্মসূচি ঘোষণা করেছিলেন তারেক রহমান। সেই সংস্কারের কাজ এই অন্তর্বর্তী সরকার শুরু করলে আমরা তাদের পূর্ণ সমর্থন জানিয়েছি। প্রায় এক বছর ধরে সনদ তৈরির কাজ করেছেন তারা। ১৭ অক্টোবর সব দল একমত হয়েছে এবং যেসব বিষয়ে ঐকমত্য হয়েছে, সেখানে আমরা স্বাক্ষর করেছি।”

তবে ফখরুল অভিযোগ করেন, পরে উপদেষ্টা কাউন্সিলের এক সদস্য হঠাৎ প্রেস কনফারেন্স করে জানান যে রাজনৈতিক দলগুলোকে মাত্র সাত দিন সময় দেওয়া হবে নিজেদের মধ্যে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য। তিনি বলেন, “তাহলে এতদিন ধরে যে ঐকমত্য কমিশনে বসে সংস্কারের প্রস্তাবগুলো নিয়ে কাজ করা হয়েছে, সেখানে আমাদের প্রতিনিধি ছিল, সব দলের প্রতিনিধি ছিল—সেই প্রক্রিয়া এখন প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে পড়েছে।”

বিএনপি মহাসচিব আরও বলেন, “আমরা যেগুলো গ্রহণ করিনি, তা প্রকাশ্যে কনফারেন্স করে জানিয়েছি। কিন্তু উপদেষ্টা কাউন্সিলের নতুন সিদ্ধান্তের ফলে সংস্কার প্রক্রিয়ায় বিভ্রান্তি তৈরি হয়েছে।”

আসন্ন নির্বাচনে অংশগ্রহণের বিষয়ে দৃঢ় অবস্থান জানিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, “আমরা এই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করব এবং ইনশাআল্লাহ এই নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে একটি নতুন বাংলাদেশ গড়ে তুলব।”

সমাবেশে উপস্থিত তরুণদের উদ্দেশে তিনি বলেন, “আপনারা যে ত্যাগ স্বীকার করেছেন, আমাদের হাজার হাজার নেতাকর্মী শহীদ হয়েছেন, তাদের আত্মার প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে সামনে এগিয়ে যান। আমাদের বিজয় সুনিশ্চিত করতে হবে।”

রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, বিএনপির এই অবস্থান নির্বাচনকালীন রাজনৈতিক প্রক্রিয়ায় নতুন বিতর্ক তৈরি করতে পারে। নির্বাচন ও গণভোট একই দিনে আয়োজনের দাবির বিষয়টি নিয়ে এখন সরকারের আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া আসেনি। তবে অন্তর্বর্তী সরকারের কয়েকজন উপদেষ্টা এর আগে জানিয়েছেন, রাজনৈতিক ঐকমত্য ছাড়াই কোনো সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দেওয়া হবে না।

s
এই বিভাগের আরো সংবাদ
© All rights reserved © 2021 deshmediabd.com